০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় শতকরা ৫০ ভাগ মৃত্যু কমায় ভিটামিন ডি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
  • ২৩ Time View

করোনা ভাইরাসের ছোবলে পড়ে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। মানুষ লড়াই করছে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস। এই লড়াইয়ে মানুষকে সাহায্য করতে পারে ভিটামিন ডি।

এক মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যেসব রোগীর দেহে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ডি আছে, তাদের বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ডেইলি মেইলেইর খবরে বলা হয়েছে, গবেষণায় আরও দেখা গেছে- মারাত্মকভাবে ভিটামিন ডি সংকট থাকলে রোগীর জটিল অবস্থায় যাওয়ার বা মারা যাওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

তবে নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, পর্যবেক্ষণমূলক এই তথ্যপ্রমাণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ের। তাই তারা এখনই এটা ব্যবহারে সতর্কতা দিয়েছেন। ভিটামিন ডি এবং করোনাভাইরাসে মৃত্যুহারের মধ্যে সম্পর্ক বোঝার জন্য তারা আরো গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মাছ এবং মাশরুমের মতো খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হতে পারে অথবা রোদে গেলে ত্বক এই ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে।

বৃটেনের স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন প্রায় ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন।

এর আগেও আলাদা কিছু গবেষণায় বলা হয়েছিল, ভিটামিন ডি-এর কম মাত্রার ফলে মানুষের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করতে সহায়তা করতে পারে ভিটামিন ডি।

রিজে ইউনিভার্সিটি আমস্টার্ডামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশে ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতা রয়েছে সেখানে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার বেশি এবং করোনায় সংক্রমিত হওয়ার হারও বেশি। তাদের এই পূর্বাভাসই যেন প্রতিধ্বনি তুলছে মার্কিন সর্বশেষ গবেষণায়।

সম্প্রতি ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন গবেষণায় দেখতে পেয়েছে, যেসব প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ভিটামিন ডি সেবন করেছেন তাদের বুকের সংক্রমণে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি শতকরা ৫০ ভাগ কমে যায়।

এরপরই বর্তমানে একই রকম একটি গবেষণায় চালাচ্ছে ইউনির্ভাসিটি অব গ্রানাডা। তাদের গবেষণাটি ১০ সপ্তাহব্যাপী একটি ট্রায়াল। গবেষকরা যেসব দেশে করোনা ভাইরাস মারাত্মক আকারে দেখা দিয়েছে সেখানকার পরিসংখ্যান ব্যবহার করেছেন। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ডাটা। এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে অনলাইন মেডআরসিভ নামের অনলাইনে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

করোনায় শতকরা ৫০ ভাগ মৃত্যু কমায় ভিটামিন ডি

Update Time : ০৪:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

করোনা ভাইরাসের ছোবলে পড়ে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। মানুষ লড়াই করছে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস। এই লড়াইয়ে মানুষকে সাহায্য করতে পারে ভিটামিন ডি।

এক মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যেসব রোগীর দেহে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ডি আছে, তাদের বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ডেইলি মেইলেইর খবরে বলা হয়েছে, গবেষণায় আরও দেখা গেছে- মারাত্মকভাবে ভিটামিন ডি সংকট থাকলে রোগীর জটিল অবস্থায় যাওয়ার বা মারা যাওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

তবে নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, পর্যবেক্ষণমূলক এই তথ্যপ্রমাণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ের। তাই তারা এখনই এটা ব্যবহারে সতর্কতা দিয়েছেন। ভিটামিন ডি এবং করোনাভাইরাসে মৃত্যুহারের মধ্যে সম্পর্ক বোঝার জন্য তারা আরো গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মাছ এবং মাশরুমের মতো খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হতে পারে অথবা রোদে গেলে ত্বক এই ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে।

বৃটেনের স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন প্রায় ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন।

এর আগেও আলাদা কিছু গবেষণায় বলা হয়েছিল, ভিটামিন ডি-এর কম মাত্রার ফলে মানুষের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করতে সহায়তা করতে পারে ভিটামিন ডি।

রিজে ইউনিভার্সিটি আমস্টার্ডামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশে ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতা রয়েছে সেখানে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার বেশি এবং করোনায় সংক্রমিত হওয়ার হারও বেশি। তাদের এই পূর্বাভাসই যেন প্রতিধ্বনি তুলছে মার্কিন সর্বশেষ গবেষণায়।

সম্প্রতি ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিন গবেষণায় দেখতে পেয়েছে, যেসব প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ভিটামিন ডি সেবন করেছেন তাদের বুকের সংক্রমণে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি শতকরা ৫০ ভাগ কমে যায়।

এরপরই বর্তমানে একই রকম একটি গবেষণায় চালাচ্ছে ইউনির্ভাসিটি অব গ্রানাডা। তাদের গবেষণাটি ১০ সপ্তাহব্যাপী একটি ট্রায়াল। গবেষকরা যেসব দেশে করোনা ভাইরাস মারাত্মক আকারে দেখা দিয়েছে সেখানকার পরিসংখ্যান ব্যবহার করেছেন। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ডাটা। এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে অনলাইন মেডআরসিভ নামের অনলাইনে।