করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিশ্বের প্রতিটি দেশ। এর মধ্যে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে করোনামুক্ত নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে বর্তমানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ নেই। শুধু নিউজিল্যান্ড নয়, আরও ৮টি দেশ করোনাকে জয় করেছে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
পূর্ব তিমুর: এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২১ মার্চ। তারপর থেকেই বন্ধ করা হয় স্কুল, জমায়েত। অন্য দেশ থেকে আসা সবাইকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। দেশটির ২৪ তম শেষ করোনা রোগী ১৫ মে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ফিজি: গত ১৯ মার্চ ওশিয়ানিয়ার এ আইল্যান্ডে করোনা আক্রান্তের খবর মেলে। তারপরই প্রধানমন্ত্রী ফ্রেঙ্ক বেইনিমারামা বন্ধ করে দেন বিমান পরিবহন। ১৮ জন করোনা রোগীই সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই দেশে। ফিজি নিজেদের করোনামুক্ত ঘোষণা করেছে ২০ এপ্রিল।
সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস: দেশটিতে প্রথম করোনায় আক্রান্তের খবর মেলে ২৪ মার্চ। এরপর মাত্র ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। গত ১৯ মে নিজেদের করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে এই দেশ।
হলি সি: মাত্র ১২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এই দেশে। ৬ জুন নিজেদের করোনা মুক্ত ঘোষণা করে দেশটি।
সিসিলি: গত ১৪ মার্চ দেশটিতে প্রথম দুজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। একটুও সময় নষ্ট করেনি এই দেশ। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করা চীন, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে সব যাতায়াত। দেশটিতে আক্রান্ত হওয়া ১১ জন এখন পুরোপুরি সুস্থ।
পাপুয়া নিউ গিনি: গত ২০ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্ত হয় দেশটিতে। তারপর মাত্র ৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এ দেশে। গণপরিবহন ও জমায়েত বন্ধ করতেই ৪ মে করোনা মুক্ত হয়েছে পাপুয়া নিউ গিনি।
ইরিত্রিয়া: আফ্রিকার একেবারে পূর্ব দিকে ৬০ লাখ মানুষে দেশ ইরিত্রিয়া। গত ২১ মার্চ নরওয়ে ফেরত এক ব্যক্তির দেহে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ১৫ মে সফল হয় দেশটি।
মন্টিনিগ্রো: ইউরোপের দেশ মন্টিনিগ্রো। গত ১৭ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর আক্রান্ত হয় ৩২৪ জন। গত ২৪ মে নিজেদের করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে দেশটি।