০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিগ্যাল নোটিশ: করোনার সেবা দিতে আসা ড. ফেরদেীসকে কোয়ারেন্টইন।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:১৯:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
  • ১৮ Time View

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে কোন আইনের ক্ষমতাবলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তা জানাতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, করোনাকালে বাংলাদেশের মানুষকে সেবা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের সুপরিচিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার ৭ জুন ঢাকায় আসেন। কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্ক থেকে ডা. ফেরদৌসের সঙ্গে আরও ১১২ বাংলাদেশি দেশে আসেন। গত ৮ জুন করোনা মোকাবেলায় চীন থেকে সেদেশের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় আসেন। কিন্তু এদের মধ্যে ডা. ফেরদৌসকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়নি। তাই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সকলের বিষয়ে সমান বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, যা বাংলাদেশের সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (জননিরাপত্তা বিভাগ) জ্যেষ্ঠ সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিবকে ই-মেইলের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশপ্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সালের পক্ষে ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফেরদৌস যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের কাছে বড় আশা ও ভরসার প্রতীক। করোনা ভাইরাসের ভয়ে যেখানে বিশ্বের অনেক বাঘা বাঘা ডাক্তার তাদের চেম্বার বন্ধ করে অন্দরে ঢুকে গেছেন, সেখানে নিউইয়র্কের মতো মৃত্যুপুরীতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। গত ৭ জুন তিনি দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে। তবে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, তাকে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে দেয়া হয়নি, কারণ ডা. ফেরদৌস খন্দকার করোনা শনাক্তের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়। এর ফলাফল পজিটিভ এসেছিল। তাই উনি একজন করোনা যোদ্ধা। করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপি কার্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রায়ই রোগীর পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের প্লাজমা খোঁজা হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে সরকার ডা. ফেরদৌস খন্দকারদের মত মানুষদের খুঁজছে এবং তিনি শুধু প্লাজমা হিরো হিসেবেই নন একজন প্রথিতযশা ডাক্তার হিসেবে দেশের অনেক মানুষের উপকারে আসতে পারেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

লিগ্যাল নোটিশ: করোনার সেবা দিতে আসা ড. ফেরদেীসকে কোয়ারেন্টইন।

Update Time : ০৪:১৯:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে কোন আইনের ক্ষমতাবলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তা জানাতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, করোনাকালে বাংলাদেশের মানুষকে সেবা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের সুপরিচিত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার ৭ জুন ঢাকায় আসেন। কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষ ফ্লাইটে নিউইয়র্ক থেকে ডা. ফেরদৌসের সঙ্গে আরও ১১২ বাংলাদেশি দেশে আসেন। গত ৮ জুন করোনা মোকাবেলায় চীন থেকে সেদেশের বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় আসেন। কিন্তু এদের মধ্যে ডা. ফেরদৌসকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়নি। তাই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সকলের বিষয়ে সমান বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, যা বাংলাদেশের সংবিধানে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (জননিরাপত্তা বিভাগ) জ্যেষ্ঠ সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিবকে ই-মেইলের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশপ্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সালের পক্ষে ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফেরদৌস যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের কাছে বড় আশা ও ভরসার প্রতীক। করোনা ভাইরাসের ভয়ে যেখানে বিশ্বের অনেক বাঘা বাঘা ডাক্তার তাদের চেম্বার বন্ধ করে অন্দরে ঢুকে গেছেন, সেখানে নিউইয়র্কের মতো মৃত্যুপুরীতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। গত ৭ জুন তিনি দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে। তবে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, তাকে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে দেয়া হয়নি, কারণ ডা. ফেরদৌস খন্দকার করোনা শনাক্তের অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়। এর ফলাফল পজিটিভ এসেছিল। তাই উনি একজন করোনা যোদ্ধা। করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপি কার্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রায়ই রোগীর পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের প্লাজমা খোঁজা হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে সরকার ডা. ফেরদৌস খন্দকারদের মত মানুষদের খুঁজছে এবং তিনি শুধু প্লাজমা হিরো হিসেবেই নন একজন প্রথিতযশা ডাক্তার হিসেবে দেশের অনেক মানুষের উপকারে আসতে পারেন।